ইসলামী ঐক্য আন্দোলন । নবুওয়াতি ধারার খেলাফতি আন্দোলন।

ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর ব্যক্তিত্ব ও শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইসলামি ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন শাখার যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বেলা ১২টায় “হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর ব্যক্তিত্ব ও শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন, সংগঠনের নায়েবে আমীর ‘অধ্যক্ষ ড. মাও. এ কে এম মাহবুবুর রহমান’প্রবন্ধকার তার প্রবন্ধে ইমাম হোসাইন রাঃ এর ব্যক্তিত্ব, পরিচয় ও কুরআন ও হাদিসের আলকে তার গুরুত্ব তুলে ধরে কারবালার প্রকৃত ইতিহাস ও তা থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষা সম্বন্ধে সবিস্থারে আলোকপাত করেন।

সেমিনারে উপস্থিত বক্তাগণ এই প্রবন্ধকে যুগোপযোগী, বস্তনিষ্ঠ, তত্ত্বভিত্তিক ও বলিষ্ঠ বলে অভিহিত করেন।  প্রবন্ধ পাঠ পরবর্তী বক্তব্যে বক্তাগণ বলেন, ইমাম হোসাইন সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তিনি কখনোই ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করেন নি। বরং ইয়াজিদ ও তার বাহিনী ক্ষমতার মোহে আল্লাহ্‌র রাসুলের আহলে বাইতকে হত্যা করে ছিল। বক্তাগণ ইয়াজিদের মুখোশ উম্মোচন করে বলেন, ইয়াজিদ ছিল দুঃশ্চরিত্র ও লম্পট। সে ইসলামী খেলাফাতের পরিবর্তে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। আর সে বিদআত দ্বার প্রতিষ্ঠিত ছিলইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ ইয়াজিদের দ্বারাই প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাই যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদ কায়েম করতে চায়, তারা মূলত ইয়াজিদের অনুসারী

বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে এক শ্রেণির আলেম কারবালার ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। বক্তাগণ এই শ্রেণির লোকদের ঈমান নিয়ে সন্দেহ পোষন করেন। এবং তারা বলেছেন এরা মূলত ইয়াজিদের দোসর ও প্রেতাত্মা।

উক্ত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মাও. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাও. আজিজুল হক মুরাদ, সেক্রেটারী জেনারেল মাও. মোহাম্মদ ইসমাঈল ফারুক, জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক মাও. আব্দুল হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু হানিফ। সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি মাও. ক্বারী ইউসূফ সিদ্দিকী। এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মাও. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
Share:

বদর যুদ্ধের তাৎপর্য ও শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত




অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওঃ ইউসুফ সিদ্দিকী,মাওঃ মোহাম্মাদ ইসমাঈল, মাওঃ আব্দুল হামিদ, মাওলানা মোরশেদ খান (বাম থেকে ডান)


Share:

শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের শোকপ্রকাশ

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের মৃত্যুতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মাওঃ আব্দুল আজিজ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওঃ আজিজুল হক মুরাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ মোহাম্মদ ইসমাঈল ফারুক সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম শফিউল আলম প্রধান ছিলেন একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক নেতাতার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দক্ষ রাজনীতিবিদকে হারালো; এই ক্ষতি অপূরণীয়। নেতৃবৃন্দ শফিউল আলম প্রধানের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

Share:

হিন্দুত্ববাদি সাংস্কৃতির অনুশীলনে মুসলমানকে বাধ্য করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়ঃ ইসলামী ঐক্য আন্দোলন

বর্ষবরণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রার নির্দেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মাওঃ আঃ আজিজ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওঃ আজিজুল হক মুরাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ মোঃ ইসমাঈল ফারুক।এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন বর্ষবরণের নামে ভিনদেশী হিন্দুত্ববাদি সংস্কৃতি অনুশীলনে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানকে বাধ্য করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা বলেন নতুন বছরের প্রথম দিন মঙ্গল কামনার নামে যে সকল সাপ, বিচ্ছু, কুমির ও বিভিন্ন দেব-দেবীর বড় বড় মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয় তা মুলত হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি অংশ।মুসলমানদের বিশ্বাস মতে ভাল-মন্দ, মঙ্গল-অমঙ্গল সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই সংঘটিত হয়ে থাকে। মুসলমানকে মঙ্গল ও কল্যান কামনা করতে হবে একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছে।আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারও কাছে যেমন কোন জীবজন্তু, বন্যপ্রাণী ও দেবদেবীর মূর্তির কাছে কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করলে একজন মুসলমানের ঈমান থাকবে না।

তারা আরও বলেন স্থানীয় ও লোকজ সংস্কৃতি সাথে ইসলামের কোন বিরোধ নেই। যে পর্যন্ত ইসলামের গণ্ডির মধ্যে থাকেবে, শিরক থাকবেনা সে পর্যন্ত ইসলাম অনুমোদন দেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় যে সকল প্রানি, দেবদেবীর মূর্তি সাথে নিয়ে মঙ্গল কামনা করা হয় তা প্রকাশ্য শিরক।

বিবৃতিতে তারা নব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত এদেশে ঈমান-আক্বীদা বিরোধী শিরকী এসব প্রথা বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Share:

চীনে দাড়ি ও হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা করে এক কোটি মুসলমানের অধিকার হরণ করা হয়েছেঃ ইসলামী ঐক্য আন্দোলন

চীনের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা জিনজিয়াং প্রদেশে পুরুষদের বড় দাড়ি ও নারীদের হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রদেশের এক কোটি মুসলমানের  অধিকার হরণ করা হয়েছে।ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মাওঃ আঃ আজিজ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওঃ আজিজুল হক মুরাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ মোঃ ইসমাঈল ফারুক এক যুক্ত বিবৃতিতে একথা বলেন।

তারা বলেন চীনের নিষেধাজ্ঞা মুসলমানদের সম্মান,ব্যক্তিত্ব এবং পরিচয়ের ওপর বড় ধরনের আঘাত।এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য মুসলমান নাগরীকদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারপ্রধানদের উচিত তীব্র প্রতিবাদ করা এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে চীনের উপর চাপ প্রয়োগ করা।
Share:

এডভোকেট ওমর আলী খানের ইন্তেকালে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ

ইসলামি ঐক্য আন্দোলনের নায়েবে আমির জনাব এডভোকেট ওমর আলী খান গত ০৮/০১/২০১৭ তারিখ রোজ রবিবার দুপুর ১২ টায় ময়মনসিংহ শহরস্থ নিজ বাস গৃহে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুম এড. ওমর আলী খান ময়মনসিংহের গফরগায়ে ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন শেষে শিক্ষতার মাধ্যমে তার কর্মজীবনের শুরু হয়। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ কোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একই সাথে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মাওঃ আঃ আজিজ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওঃ আজিজুল হক মুরাদ, নায়েবে আমির ড. মাওঃ এ কে এম মাহবুবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ মোঃ ইসমাঈল ফারুক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মাওঃ আব্দুল হামিদ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম এডভোকেট ওমর আলী খান একনিষ্ঠভাবে ইসলামের প্রচার-প্রসার, দ্বিনি দাওয়াত ও দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্ঠায় নিয়জিত ছিলেন। বিশেষত দেশের আইনজীবী মহলে দ্বীনি দাওয়াতের কাজে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজনএকনিষ্ঠ ইসলামী নেতাকে হারালো। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহর দরবারে মরহুমের নাজাত ও উচ্চতর মর্যাদা লাভের জন্য দোয়া করেন।

Share:
Education/hot-posts

Blogroll

BTemplates.com